"রাংবাক" তাদের অলংকার, বিজ্ঞানের যুগে ঐতিহ্যেই তাদের অহংকার


সবুজ ত্রিপুরা, তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিরাজ্যের উপজাতি অংশের জনগনের মধ্যে রিয়াং জনজাতির লোকজনেরা বর্তমানেও অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন। তাদের কাছে বিজ্ঞান যুগের আধুনিকতা বর্তমানেও অধরা। উনারা তাদের ঐতিহ্যের পোশাক ও পয়সার গহনাতেই খুশি আছেন। তাতেই উনারা গর্ব বোধ করেন। শহরবাসীদের মত স্বর্ণালঙ্কারের গহনার পেছনে দৌড়ঝাঁপ করতে তারা নারাজ। তাদের নেই বিশেষ কোন বিলাসিতার মনোভাব। রিয়াং জনজাতির লোকেরা তাদের ঐতিহ্যের গহনা-কে তাদের ভাষায় "রাংবাক" বলে থাকেন। 
অধিকাংশ রিয়াং জনজাতির লোকেরা প্রত্যন্ত এলাকাতে বসবাস করেন জুম-চাষ বা স্থানান্তর চাষ করার জন্য। তাদের জীবন-জীবিকার প্রধান মাধ্যম হলো জুম চাষ। উল্লেখ্য, তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন আঠারমুড়া পাহাড়ের কোলে অবস্থিত, নোঁনাছড়া, কাঁকড়াছড়া, হাজরাপাড়া, ছনপাড়া, বাহাদুর-সর্দার-পাড়া, তীর্থ-মনি-রিয়াং পাড়া, এইসব এলাকাগুলিতে রিয়াং জন-জাতি লোকেদের বসবাস। পূর্বে এইসব এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন খুব একটা ভালো ছিল না। 

বর্তমানে নিয়মিত রেশন সামগ্রী সংগ্রহ থেকে শুরু করে বাজারমুখী হতেও কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না। তাদের মধ্যে একটা অংশ গরীব হয়েও বিপিএল তালিকাতে নাম নেই। আর এইসব জন-জাতি লোকেদের একটাই দাবি সরকার যেন তাদেরকে বিপিএল তালিকা ভুক্ত করে। অন্যদিকে রিয়াং জন-জাতিদের মধ্যে থেকে একটা অংশ বর্তমানে শিক্ষার আলো পেলেও অধিকাংশই আজকের যুগেও শিক্ষার আলো থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu