পুলিশ ও স্থানীয় যুবকদের দিয়ে আসাম ও ত্রিপুরা সীমান্তে চলছে নজরদারি


সবুজ ত্রিপুরা, চুড়াইবাড়ি প্রতিনিধি, ০৩ এপ্রিল : সম্প্রতি দিল্লির নিজামুদ্দিন জমায়েত থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আগত একটা অংশের মৌলানাদের শরীরে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পজিটিভ পাওয়া গেছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসমে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন করোনা পজিটিভ রোগী সনাক্ত হয়েছে। এমনকি উত্তর জেলার ত্রিপুরা আসাম সীমান্তঘেঁষা করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরেও এক ব্যক্তির শরীরে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের পজিটিভ ধরা পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন।



এই ঘটনার পর থেকে ত্রিপুরার উত্তর জেলার পুলিশ-প্রশাসন শক্ত হাতে চুড়াইবাড়ি ও কদমতলা থানাধীন প্রায় ১৮ কিলোমিটার ত্রিপুরা-অসম সীমান্তে কড়া নজরদারি শুরু করে দিয়েছে। উত্তর জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ কদমতলা ও চুরাইবাড়ি থানার ওসি দিনরাত এই এলাকাগুলোতে সরজমিনে নজরদারি করছেন। দুই সংযোগী সবকটি সড়ক সিল করে বসানো হয়েছে টিএসআর ও পুলিশের কড়া নজরদারি। বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে স্থানীয় যুবকদের দিয়ে ভলেন্টিয়ারের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় চলছে নজরদারি। 


এককথায় পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে কদমতলা ও চুড়াইবাড়ি থানা এলাকার ১৮ কিমি সীমান্ত দিয়ে যাতে কোন ব্যক্তি আসাম থেকে রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে উত্তর জেলার পুলিশ প্রশাসন। বিশেষ করে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তেমনি আজ ১৮ কিমি ত্রিপুরা অসম সীমান্ত সরজমিনে পরিদর্শনে আসেন উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফেন্সিং ডার্লং, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজিব সুত্রধর।তাদের সঙ্গে ছিলেন কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার, চুরাইবাড়ি থানার ওসি জয়ন্ত দাস ও কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব। 


উনারা ত্রিপুরার সীমান্ত সরজমিনে পরিদর্শন করেন। সীমান্তের থাকা ভলেন্টিয়ার, টিএসআর ও পুলিশ কর্মীদের সাথে কথাও বলেন যাতে করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত ও অটুট করা হয়। কথা বলেন ত্রিপুরা অসম সীমান্তের উভয় রাজ্যের স্থানীয় জনগণের সাথে। উত্তর জেলার পুলিশ আধিকারিকদের এই সফরে অনেকটাই খুশি সীমান্ত এলাকার জনগণ কারণ,যেভাবে উত্তর জেলার পুলিশ প্রশাসন ত্রিপুরা সীমান্তে কড়া নজরদারি ও নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রেখেছে তাতে করে বহি রাজ্য থেকে কোন মানুষ রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। যদিও পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরে করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছিল আর তারপর থেকে রাজ্যের সীমান্ত এলাকার চুড়াইবাড়ি,কদমতলা সহ গোটা রাজ্যে এক আতঙ্কময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল।এই সকল আতঙ্কময় পরিবেশ করা হাতে উত্তর জেলা পুলিশ প্রশাসন মোকাবিলা করে উনাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোটা সীমান্ত এলাকা সিল করে দিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন। 



তবে একটি দুষ্টচক্র উত্তর জেলার পুলিশ প্রশাসন বিশেষ করে কদমতলা থানাকে হেনস্থা করার জন্য রাতের আধারে একটি বাঁশের সাঁকো বানিয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে কালিমালিপ্ত' করতে চেয়েছিল। কিন্তু আজ উত্তর জেলার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকগন সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে ত্রিপুরা আসাম সীমান্তে সংযোগী কুর্তি নদীর উপর বাঁশের সাঁকো বা আসাম থেকে কোন ব্যক্তি রাজ্যে প্রবেশের নাম গন্ধ পায়নি। পাশাপাশি উত্তর জেলার পুলিশ প্রশাসন থেকে সীমান্ত এলাকার জনগণের কাছে আহ্বান রাখা হয়েছে উনারা যেন পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন। সতর্ক থাকেন এবং নিজ ঘরে থাকেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu