সবুজ ত্রিপুরা, নিজস্ব
প্রতিনিধি, ২০ মার্চ : গতকাল সকাল আনুমানিক ১১:০০টা নাগাদ
সারা ভারত কৃষক সভা পানিসাগর মহকুমা কমিটির পক্ষ থেকে পানিসাগর কৃষি দপ্তর এবং পানিসাগর
ওয়াটার রিসোর্স দপ্তরের আধিকারিকের নিকট এগারো দফা দাবি সনদ দফা দাবি সনদ নিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করা
হয়। কমিটির পক্ষ থেকে ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল পানিসাগর কৃষি দপ্তরের অধীক্ষক শ্রী সাবেন্দ্র দেববর্মার নিকট ডেপুটেশন দেন এবং পরবর্তী সময়ে পানিসাগর স্হিত ওয়াটার রিসোর্স দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী শ্রী মণিশঙ্কর দেবের নিকট ৯ দফা দাবি সনদ পেশ করেন।
কৃষি দপ্তরের আধিকারিকের নিকট দাবি
সনদের মধ্যে ছিল - সার, বীজ, কীটনাশক ঔষধ, সরকারি ভর্তুকিতে কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ, কৃষকদের
কাছ থেকে ধান ক্রয় করার ক্ষেত্রে সঠিক কৃষকদের প্রাধান্য দেওয়া। পানিসাগর রেগুলেটেড মার্কেটকে
সুপার মার্কেটে রূপান্তরণ ও সংস্কারসাধন, ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া হারে
মাসুল না তোলা, কৃষকদের কাছ থেকে টি,পি,এস, আলুর বীজ প্রতি কিলো ৩০ টাকা করে ক্রয়, জলাবাসা
ফিস মার্কেটকে দ্বিতল ভবনে পরিবর্তন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জমিতে ভাঙ্গনরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা। বর্ষার শুরুতেই এডিসি এলাকায়
বাগান সহ জুমচাষের জন্য বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা ইত্যাদি।
পাশাপাশি ওয়াটার রিসোর্স দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীর নিকট দাবি ছিল, যে সমস্ত এলআই স্কীমে পিকআপ ওয়ার নেই, সেই সমস্ত স্কীমে পিক আপ ওয়ার নির্মান করা, এছাড়াও পিকআপ ওয়ারগুলি দ্রুত সংস্কার করা আর যে সমস্ত এলাকায় এলআই স্কীম নেই, সেই সমস্ত এলাকায় গভীর নলকূপ স্হাপন করে জল সেচের ব্যাবস্থা করা, জমির ভাঙ্গন রোধে
পাকা ব্লক বসানো। পাম্প অপারেটর দের বেতন বৃদ্ধি সহ নিয়মিত করন করা, মেশিনারি ওয়েল
স্হাপন করে পাম্পসেটের মাধ্যমে কৃষকদের জমিতে জলসেচের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। কৃষক
সভার এই ধরনের ইতিবাচক দাবীসনদের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করে দুটি দপ্তরের আধিকারিকদ্বয়
দাবি গুলোর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন এবং যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন : কাঞ্চনপুরে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির
0 মন্তব্যসমূহ