বিদ্যুৎ ঠিকাদারের অনভিজ্ঞতার মাশুল পাচ্ছে পানিসাগরবাসী : দায় এড়াতে পারছে না স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ


সবুজ ত্রিপুরা, পানিসাগর প্রতিনিধি, ২৭ সেপ্টেম্বর :  ইলেকট্রিক ঠিকাদারে গাফিলতিতে পানিসাগর এলাকার জনগণের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ, যার দায় এড়াতে পারছেন না স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগও। হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সাপ্লাই করার ফলে এলাকার প্রতিটি পরিবারের বিদ্যুৎ চলে যায়, এমনকি বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিও জ্বলে গিয়ে বিকল হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের আন্ডারগ্রাউন্ড হাই ভোল্টেজ লাইনের কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয় আগরতলা নিবাসী নারায়ণ সাহা নামে এক ইলেকট্রনিক ঠিকাদারকে , যাদের ভুলের কারণে উক্ত এলাকায় হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সাপ্লাই হোয়াতে ,এলাকার প্রতি প্রত্যেকটা পরিবারের বিদ্যুৎ চালিত কম্পিউটার, টিভি, ফ্যান, ফ্রিজ ইত্যাদি জ্বলে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ে, যার দায় পানিসাগর বিদ্যুৎ বিভাগ ও এড়িয়ে যেতে পারেন না।
              উত্তর ত্রিপুরা পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের ৭ নং ওয়ার্ডের বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন, দক্ষিণ পানিসাগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে পানিসাগর বিদ্যুৎ বিভাগের ১১০০০ ভোল্টেজ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফর্মার রয়েছে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, আজ বেলা আনুমানিক ১০:১১ ঘটিকা নাগাদ সেই ট্রান্সফরমারে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করতে আসে IPDS এর অধীনস্থ আগরতলা নিবাসী ঠিকাদার নারায়ণ সাহার অধীনে কর্মরত পানিসাগর নিবাসী একজন ঠিকাদার সুব্রত নাথ এবং উনার সহযোগী কর্মীরা। পানিসাগর বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এই আন্ডারগ্রাউন্ড হাই ভোল্টেজ লাইনের কাজের দায়িত্ব পেয়েছিলেন নারায়ণ সাহা। তিনি তাঁর অধীনস্থ একজন স্থানীয় ঠিকাদারকে কাজটি করার জন্য পাঠান। সেই স্থানীয় ঠিকাদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার কাজকর্ম করে। কিন্তু ট্রান্সফরমারে মাধ্যমে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সাথে সাথেই বিকট শব্দ সহযোগে ট্রান্সফরমারের শর্ট সার্কিট সংঘটিত হয় এবং গোটা এলাকায় বসবাসকারী পরিবারদের এবং স্থায়ী ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি যেমন – কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক পাখা সবকিছুই বিকল হয়ে যায়।এলাকাবাসী বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর উক্ত ট্রান্সফর্মার স্থলে একে একে জড়ো হতে থাকেন এবং ঠিকাদার সুব্রত নাথকে জবাবদিহি করেন।
এলাকাবাসীর বক্তব্য যে, কোনও প্রকার আগাম অবগতি ছাড়াই এলাকায় ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগ করার সময় সেখানে বিদ্যুৎ দপ্তরের কোনও সহকারী ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত ছিলেন না। কমপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকদের অনভিজ্ঞতা এবং সরকারি ইঞ্জিনিয়ারদের অনুপস্থিতির ফলেই এই বিপত্তি ঘটেছে। গোটা এলাকার প্রতি প্রত্যেকটা পরিবারের বিশাল পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গেল। তার দায় পানিসাগর বিদ্যুৎ বিভাগ এবং উক্ত কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারদের বহন করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন। কারণ যেখানে উক্ত ট্রান্সফর্মার মারফত এন্টি লাইন সংযোগ করে ৮০০ ভোল্টেজ উৎপন্ন করে জিরো পয়েন্টে ১৪০ ভোল্ট এলাকাবাসী পাওয়ার কথা। সেখানে অগ্রিম কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই হাইভোল্টেজ আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ সংযোগ করতে গিয়ে আজকে উক্ত এলাকার প্রতি প্রত্যেকটা পরিবার বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হল যার মোট হিসাব নেওয়া কষ্টকর হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, উক্ত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এবং বসবাসকারী স্থায়ী পরিবারগুলি কতটুকু ক্ষতিপূরণ পান।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu