সবুজ
ত্রিপুরা, চুরাইবাড়ি
প্রতিনিধি, ১৫ জুলাই : রেল দপ্তরের উদাসিনতার কারণে চরম বিপাকে রেল যাত্রীরা। রাজধানী আগরতলা থেকে সকাল ১১.০০টার শিলচরগামী দূরপাল্লা যাত্রীবাহী ট্রেনের ২০০০৪ নম্বরের ইঞ্জিন আচমকা বন্ধ হয়ে পড়ে। জহরনগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে কিছুদূর গিয়ে লংতরাই ট্যানেলের আগে বন্ধ হয়ে পড়ে ট্রেনের ইঞ্জিনটি। প্রায় আড়াই ঘন্টা পর আরেকটি ইঞ্জিন এনে পুনরায় শিলচরের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয় যাত্রীবাহী ট্রেন। আর তাতে ট্রেনে থাকা সকল যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এক যাত্রী ট্রেনের হালহকিকত নিয়ে ট্যুইটার এ রেল মিনিষ্ট্রির কাছে ট্যুইটও করেন। তবে কেন আচমকা ট্রেনটি আড়াই ঘণ্টা দাঁড়া করিয়ে রাখা হলো, এমনকি কেন অন্য আরেকটি ইঞ্জিন এনে পুনরায় ট্রেন চালু করানো হল তার কারন কোন যাত্রী জানতে পারলেন না।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, সোমবার সকাল ১১ টায় আগরতলার বাধারঘাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২০০০৪ নম্বর ইঞ্জিনের আগরতলা শিলচর গামী দূরপাল্লা যাত্রীবাহী ট্রেনটি ছাড়ে। দুপুর ১ টা নাগাদ জহরনগর রেলওয়ে স্টেশন পেরিয়ে বড় টার্নেলে প্রবেশ করার কিছুটা আগে আচমকা রেলের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে পড়ে। প্রথমে ট্রেনে যাত্রীরা কিছু বোঝে উঠতে পারেননি। কেউ কেউ বলছেন ট্যার্নেল নাকি মাটির ধ্বস পড়েছে, আবার কেউ কেউ বলছেন ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে। সেই বেপারে যাত্রীদের কাছে কোন কিছু বলেননি রেল দপ্তরের কোন আধিকারিক বা ট্রেন চালক। উল্টো যাত্রীরা চালকের কাছে ট্রেন দাঁড়ানোর কারন জানতে চাইলে চালক ট্রেনের ইঞ্জিনের দরজা বন্ধ করে দেন। আর তাতে যাত্রীদের মধ্যে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। জনৈক অমকার রায় নামের এক যাত্রী দূরপাল্লা যাত্রীবাহী ট্রেনের দূরবস্থার চিত্র টুইটারের মাধ্যমে রেল মিনিস্ট্রির কাছে টুইট করেন।
অবশেষে আড়াই ঘণ্টা পর নতুন একটি ইঞ্জিন এনে পুনরায় শিলচরের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয় যাত্রীবাহী ট্রেনটি। আর তাতে যাত্রীবাহী এই ট্রেনটির সাথে সাথে শিলচর - আগরতলা, আগরতলা-ধর্মনগর, ধর্মনগর-আগরতলা এই সবকটি দূরপাল্লা যাত্রীবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর যাত্রী দূর্ভোগ চরমে উঠে। তবে বিশেষ সুত্রে জানাগেছে,২০০০৪ নম্বরের ট্রেনটি সোমবার সকালবেলা ধর্মনগর থেকে আগরতলা যাওয়ার পথে কিছুটা ইঞ্জিনে সমস্যা করেছিল। কিন্তু পুনরায় ওই ইঞ্জিনটি মেরামতি না করেই হয়তো শিলচরের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয় যার ফলেই মাঝপথে ঘটে এই বিপত্তি বলে অভিযোগ করেন দূর্ভোগের শিকার হওয়া যাত্রীরা।
আরও পড়ুন : আগরতলা-বেঙ্গালুরুগামী হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনাগ্রস্থ
0 মন্তব্যসমূহ